পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

খেলোয়াড়_জীবন_বিদায়


অভিনেতা এবং খেলোয়াড় - সবচেয়ে কম্পিটিটিভ ও টাফেস্ট কিন্তু অকল্পনীয় আয়ের প্রোফেশন বলা যেতে পারে।

এই দুই প্রফেশনে অন্যান্য ছাপোষা চাকুরীর মত বিদায়ে কোন নির্দিষ্ট দিন তারিখ সাধারণত থাকে না । অধিকাংশ অভিনেতা ও খেলোয়াড় সময়ের গর্তে হঠাৎ করেই হারিয়ে যায় ।
মাঝে মধ্যে সৌভাগ্যবান কেউ কেউ গলা বড় করে বিদায় ঘোষনা দেয়ার সুযোগ পায়
অমিতাব বচ্চন বা শচীন টেন্ডুলকারের মত অবিচল কর্ম করে যেতে পারে একদম রেয়ারলি
আবার এবিডি ভিলিয়ার্সের মত কেউ কেউ অতি চালাক - একদম টপ ফর্মে থেকেও বলে দেয় আর খেলমু না । উল্টা পাবলিক হা হুতাশ করে ।
আমাদের পাশের দেশে অতীব প্রতিভাবান সৌরভ গাঙ্গুলিও বলে কয়ে বিদায়ের সুযোগ পায় নাই, শেষ দিকে গ্যাড়াকলে পড়ে সটকে যেতে হয়েছে …
আমাদের পুরুষ ক্রিকেটে পঞ্চ পান্ডব একটু ভিন্ন- তারাই আসলে গত দেড় দশক পুরো দলকে লেভেল আপ করেছে যদিও সাকিব বাদে বাকী নিজেদের আপস এন্ড ডাউন খুব বেশি … তথাপি তারাই সবেধন নীলমণি টপ লেভেল ছিলো … তারা থাকতে থাকতে আরও পাঁচজন সম মানের খেলোয়াড় তৈরী হয় নি - এইটা আফসুস!
এখনও পর্যন্ত পঞ্চ পান্ডবের যে চারজন ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাট থেকে ফুল বা আধাআধি বিদায় নিতে হয়েছে তা কোনটাই তেমন তাদের হাসিমুখে হয় নি।
এইখানে একটা টানাপোড়ন আছে ।
পারিবারিকভাবেও তারা এই নিয়ে যাতনায় আছে ( তাদের স্ত্রীদের কমেন্টই তার পরিচয় বহন করছে)
আমি কোন সমাধান দিতে বসি নাই …
আলোচনা করছি …
এবং আমি নিশ্চিত একমাত্র সাকিব ছাড়া কেউ রাজষিক বিদায় পাবে না …
ভারেতে শচীনই আমার দেখামতে একদম বলে কয়ে রাজষিক বিদায় নিতে পেরেছে — বাকী সব তুখোড় খেলোয়াড়রা মনঃ কষ্টেই গেছে ।
আমাদের মুশফিক, রিয়াদ, তামিমকে নিয়ে তাই এত হতাশ হবার কিছু নেই … এ নতুন কিছু নয় খেলোয়াড় জীবনে …বয়স কম হয় নি কারও …হতাশ হতে হলে হতে হবে এই ভেবে তাদের জায়গা নেয়ার মত নতুন খেলোয়াড়রাদের মধ্যে এত বেশি আপস এন্ড ডাউন কেনো ?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন