ছোটকালো রূপকথা ভালো লাগতো, এখনও ঢাকায় আমার বাসায় অন্তত তিন- চারশ বা আরও বেশি রূপকথার নানা কিসিমের বইতো পাওয়া যাবেই - ডালিম কুমার, রাক্ষস ক্ষোক্কস, প্রাণ ভোমরা আহ কত কিছু !
আসল কথা থেকে এখনও দূরে - আসলে বলিউডের সুপার হিরো মুভিতে ইউরোপের নানা মিথলজিক্যাল বা পৌরাণিক ক্যারেক্টারের নাম ও ছাপের ছড়াছড়ি । বিশেষ করে গ্রীক, রোমান আর নরডিক মিথলজির চরিত্রগুলো বেশ পপুলার । লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো ঐ সকল মিথলজি এখন বাস্তবিক অর্থে কেবলই কাল্পনিক মিথলজি হিসাবে সর্বজন স্বীকৃত । তাই জিউসের মত প্রবল ক্ষমতাশালী গ্রীক গডকে নিয়ে ঠাট্টা মশকরা করলেও কারও কিছু যায় আসে না - অনুভূতিতে আঘাত লাগে না কারণ গ্রীক সেই ধর্ম এখন আর কেউ পালন করে না ।
সম্প্রতি বলিউডও টিপিক্যাল রোমান্টিক মুভির খোলস ছাড়িয়ে সুপার হিরো মুভির প্রচেষ্টা করছে । ঋত্বিকের কৃষ অবশ্য সেই দৌড়ে অগ্রবর্তিকাসম। ভারতীয় কিছু কমিকসও ছোটবেলা পড়েছি , যেমন ফ্যান্টম, বনদেবতা- সেগুলোও মুভি হতে পারে ।
#brahmastramovie মুভি অবশ্য হলিউডের এভেন্জার, এক্সম্যান, জাস্টিস লিগ সব এক চিমটি করে নিয়ে যে স্যালাইন বানাইছে সেখানে পুরা খোলসই দিয়েছে ভারতীয় মিথলজির রঙ দিয়ে । সমস্যা হচ্ছে ইউরোপিয়ান মিথলজিগুলো স্বীকৃত মিথলজি হলেও ভারতীয় মিথলজি এখনও ধর্ম বিশ্বাস হয়ে টিকে আছে। যে কারণে মুভি যতই ফিকশন, ভিএফএক্স আর ভিডিওগ্রাফীতে উন্নত হোক সেই বিশ্বাসের আবর্তে থেকই কল্পনা ছড়াতে মনে হয় বাধ্য হয় ।
এতটুকু বাদ দিলে ব্রহ্মাস্ত্র মুভি সুপার হিরো মুভি হিসাবে সময় পাস করার জন্য মন্দ হয় নি। চমৎকার মেকিং।
রনবীর আর আলেয়া দুজনেই যথার্থ ছিলো অভিনয়ে।
শাহরুখ খান আর নাগার্জুনের অংশটুকু একশন হিসাবে বেশ ভালো ছিলো ।
তবে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও তুখোড় চরিত্র ছিলো জুনুন নামে Mouni Roy।
(মনে হয় স্পয়লার দেই নি… অজ্ঞাতে দিয়ে থাকলে দুঃখিত)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন