পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ সাধারণত ‘পরিবর্তন’ পছন্দ করে না, মানে ছন্দপতন হোক চায় না। যে ছকে চলছে সেভাবেই জীবন চালাতে চায় - ‘নিজেকে জানা’ র সীমাব্ধতায় এবং ‘অনিশ্চয়তার ভয়’ এইখানে পরিবর্তন অপ্রত্যাশি মানুষকে বাধা দেয়।
তো এ হেন মানব প্রজাতির মাঝে ২০২০ সালের জানুয়ারী মাসেও পৃথিবীর ভালো মন্দ, উন্নয়ন-গন্ডগোল সব ঠিক মতোই ছকে ছকে চলছিলো। তারপর হঠাৎ করোনা মহামারী শুরু হলো... প্রথমে ধরে নেয়া হলো শর্ট টাইমেই হয়তো মুক্ত হওয়া যাবে কারণ বিগত ৫০/৬০ বছরে নতুন ভাইরাল রোগ লম্বা সময়ের জন্য বৈশ্বিক মহামারী হয়ে ওঠে নি ( ভয়ংকর HIV ও বৈশ্বিক মহামারী হয়ে ওঠেনি) ।
মানুষের সভ্যতায় সকল ছন্দে পতন আসতে লাগলো।
ট্যুরিসম, ট্রাভেলস, এয়ারলাইন্স, হোটেল বিজনেস, ফুড চেইন, এডুকেশন, খেলাধূলা, তীর্থ, উপাসনা, প্রার্থনা সব মানে সব কিছুর স্বাভাবিকতায় তাল কেটে গেলো।
দেখতে দেখতে বছর পেরিয়ে গেলো, লক্ষ প্রাণ গেলো... এক ফাঁকতালে পৃথিবীতে ঘটে গেলো বিরাট সব পরিবর্তনের হাওয়া।
মানুষের অধিকাংশ যেমন পরিবর্তন অপ্রত্যাশি, প্রকৃতি নিজে আবার উল্টো। ক্ষণে ক্ষনেই সে রূপ বদলায়।ধীরে ধীরে বদলায় কখনও কিন্তু বদলায়। সেই বদলের সাথে তাল মিলিয়ে মিলিয়েই মানব সভ্যতা আজ এত হাইটেক নিরিখে উন্নত।
পরিবর্তনের সাথে তাল মেলানোটাই মানব সভ্যতার মুখ্য কাজ।
বিজ্ঞানীরা সেটা করেছেন খুব সফলভাবে, মহামারীর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেকসিনের দেখা এর আগে কোন ভাইরাল এট্যাকে কোনদিন পৃথিবী পায়নি। আগে যুগ পেরিয়ে যেতো একটা ভেকসিনের জন্য। তারমানে বিজ্ঞানকে পরিবর্তনের সাথে দ্রুততর করতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা।
এত কথা বলার উদ্দেশ্য মহামারী যেহেতু যাচ্ছেই না, তাই এর সাথে পরিবর্তনগুলো মেনে সে অনুযায়ী সব কিছুর নতুন ছন্দ তৈরী করতে হবে সকলকেই।হচ্ছেও - যেমন উদাহরণ সরূপ খেলোয়ারদেড় জন্য জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার নিয়ম হয়েছে খেলার ১০ দিন আগে ( মুশফিক তা করতে ব্যর্থ হলে অষ্ট্রেলিয়া তাকে আসন্ন টি ২০ তে খেলতে না নেয়ার শর্ত দিয়েছে)।
কিন্তু এই পরিবর্তনের সাথে নতুন সুরক্ষিত পদ্ধতি তৈরী না করে যদি সব কর্মকান্ড একেবারে বন্ধ করে ফেলা হয় , তাহলে সেই কর্মকান্ডেরই কবর রচিত হয়ে উঠবে সময়ের পেষণে। উদাহরণ স্বরূপ দীর্ঘ ১৭/১৮ মাস বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একদম প্রায় বন্ধই থাকা।
....(হয়তো অসমাপ্ত)
২৩/৭/২০২১
স্থান : ট্রেন টু রানকর্ণ, ব্রীসবেন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন