পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১৪ মার্চ, ২০২১

সাম্প্রতিক কালে অষ্ট্রেলিয়াতে ঘটে যাওয়া দুটো ঘটনা যা বাংলাদেশের মূল অস্তিত্বের ইতিহাসের সাথে সম্পৃক্ত

একটি ঘটনা সিডনীর যার সম্পর্ক বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের সাথে
আরেকটি ঘটনা ব্রীসবেনে যার সম্পর্ক বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সাথে।
(আমি যেহেতু প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রবাসে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের সরাসরি রাজনীতির সক্রিয় প্রাকটিস ঠিক মেনে নিতে পারি না তাই দুটো ঘটনার পেছনে যদি কোন রাজনৈতিক অংশ থাকে তা নিয়ে সময় স্বল্পতার কারণে ঘাঁটাঘাঁটি তেমন করার সুযোগ বা ইচ্ছে হয়নি।
আমি দুটো ঘটনারই স্পষ্ট ভাবে পক্ষ বা বিপক্ষ কোনটারই দাবী এখানে প্রকাশও করছি না। মূলত আমার পরিচিত আগ্রহীদের জন্য একটি প্রতিবেদন মূলক পোষ্ট এটি)
>>>সিডনীতে সম্প্রতি বেলমোরে অবস্থিত পিল পার্কে স্থানীয় কাউন্সিল কর্তৃক সরকার ও বাংগালি কমিউনিটির যৌথ অর্থায়নে দ্বিতীয় International Mother Language Memorial স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু তাতে বাংলাদেশের পতাকার নমুনা খঁচিত হলেও শহীদ মিনারের আদলে কোন চিহ্ণ নেই ( ২০০৬ সালে নির্মিত ১ম টিতে এক পাশে অবশ্য শহীদ মিনার আঁকা আছে) ।
এই বিষয় নিয়ে সিডনীতে বাংগালি কমিউনিটি বড় আকারে প্রতিবাদী মানব বন্ধন করেছে। মোমোরিয়াল পরিবর্তন করার দাবী করা হয়েছে।
যেটি বেশ আলোচিত হয়েছে, হচ্ছে ।

International Mother Language Memorial




                                                    Story Bridge, Brisbane

>>> ব্রীসবেনের দুটো গুরুত্বপূর্ণ রিভার ব্রীজ - স্টোরি ব্রীজ এবং ভিক্টোরিয়া ব্রীজ বাংলাদেশের পতাকার রঙে মানে লাল - সবুজ রঙে বাংলাদেশের ৫০ তম স্বাধীনতা উদযাপন সময়ে লাইট আপ ( আলোক সজ্জা) করার আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে ব্রীসবেন সিটি কাউন্সিল ২৬ শে মার্চের পরিবর্তে ২৫ শে মার্চ দিবাগত রাত্রে ব্রীজ দুটি লাল- সবুজ রঙে লাইট আপ করার অনুমোদন ও ব্যবস্থা নেয়।
কিন্তু পরবর্তীতে ব্রীসবেন বাংলা কমিউনিটিতে এ নিয়ে পক্ষ- বিপক্ষ তৈরী হয়ে যায় কারণ ২৫ শে মার্চ গভীর রাত পৃথিবীর ইতিহাসে সেই ভয়াল কাল রাত- নির্মম গনহত্যার রাত- ২৫ শে মার্চ বাংলাদেশের ‘ গনহত্যা দিবস”।
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাত ১১টার পর তৎকালিন পশ্চিম পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অংশবিশেষ সেনানিবাস থেকে বের হয়ে শুরু করে সেই অপারেশন সার্চ লাইট যার তান্ডব চলে ২৬ মার্চ দিনপূর্ব সারা রাত ধরে। এ তথ্য প্রতিজন বাংগালিরই জ্ঞাত।
ব্রীসবেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ২৫ শে মার্চ দিবাগত সন্ধ্যায় ব্রীজ দুটো লাইট আপের বিষয়টি ফেসবুক গ্রুপে ঘোষনা দেয়া হয়। পরবর্তীতে আজ আবার তা স্থগিতও করা হয়েছে । কারণ ব্রীসবেন কাউন্সিল ২৫ শে মার্চ গনহত্যা দিবসের মর্মান্তিক বিষয়টি ঘিরে যে সেন্টিমেন্ট সেটি জ্ঞাত হয়ে লাইট আপ স্থগিত করেছে - এমনটিই বলা হয়েছে।
এই নিয়ে ফেসবুক জুড়ে চলছে পক্ষ-বিপক্ষ-নিরপেক্ষ স্ট্যাটাস।
দুটো বিষয়েই বাংগালীরা অষ্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার আগে নিজেরা নিজেরা কমন ইন্টারেস্ট তৈরী করতে পারলে একটি উইটোপিয়া সিস্টেম ( utopia system) বা সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা হতে পারতো... কিন্তু এই যে অসহযোগ বিষয়টা আজন্ম দেখে এসেছি , শিখে এসেছি , তার থেকে প্রবাসে এসেও কারও কোন মুক্তি নেই। সংগত কারণে আমিও ক’মিনিট ব্যয় করলাম। কারণ -বাংলাদেশি ব্লগার ছিলাম, বাংলাদেশি লেখক ছিলাম... তাই এখনও মন চায় ‘খুশিতে, ঠেলায়, দু:খে...ঘুরতে ঘুরতে ...বাংলাদেশ বিষয়ে লিখতে ....

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন