পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০

আত্মকথা

দেয়ালে একটা এ৪ কাগজ লটকে দিতাম ...

তারপর সক্রেটিসের “ নো দাইসেলফ” - কোটেশন মার্কে লিখে নিতাম নতুন শব্দ, জেগে ওঠা দু লাইন কবিতার ছন্দ, কিংবা কোন নতুন তথ্য, কোন বানী ... কাগজ পাল্টে যেতো... নতুন কাগজে আবার “নো দাইসেলফ”...

নিজেকে জানতে জানতে সময় কখন ভাটি হতে উজানে পৌঁছে যায় , নতুন রঙের ঢেউ ছুঁয়ে যায় -তবুও জানা হয়না , তবুও বয়স বেড়ে যায় ... চল্লিশ পেরিয়ে গেছি সেই কবেই ... 

নিজেকে জানা যায় নি... তবে প্রিসাইজ করা গেছে মানে একটা অবয়ব তৈরী হয়েছে নিজের কাছে নিজের ... ছয় সাত বছর আগেও যত কনফিউশন ছিলো... মিছে আশা, কাচের স্বপ্ন কিংবা দোদুল্যমান  পেন্ডুলামে ধরা ছিলো হাত .. সেগুলোর স্থিতি হয়েছে ...বদলেছে... এই এখন যদি  কেউ জিজ্ঞেস করে - কি ফল খেতে ভাল লাগে? ... মুহুর্তে বলে দিতে পারি - কাঁচা কাম আর পেয়ারা, আরও প্রিসাইসলি জিজ্ঞাস করলে - ঐ কাঁচা আম , কিংবা কি ফুল পছন্দ - গোলাপ, আরও সূক্ষ্ম ভাবে মেরুন গোলাপ , কি লিখতে ভালবাসি - ছোট গল্পই; কি লেখাটা খুব সহজাত  তার উত্তরে বলবো- এই কবিতা বলে চালানো যত অখাদ্য ..., লেখাটেখা যে কেউ তেমন পড়েনি - আফসোস হয় না, বলবো- আগে হতো এখন হয় না... তিনটে কারণ - ১. তেমন প্রয়োজনীয় কোনকিছু লেখা হয় নি ২. এখন আর তেমন লেখার সময় করতে পারি না, ৩. আমি নিজেও কালেভদ্রে ছাড়া নতুন কারও লেখা পড়ি না-আমার লেখা কেনো তবে পড়বে... এই যে একরম স্পষ্ট আত্ম উপলব্ধি চল্লিশের ধাক্কার ফসল পারে... আবার স্ক্যাটারড বহু দিনের ভাসা ভাসা জ্ঞান জীবন পুকুরে তলানী হয়ে জমার কারণে হতে পারে.... এতে নিজের নিজস্ব দর্শনেও খুব স্পষ্ট এখন নিজের কাছে... একটা দূরন্ত উপন্যাস লিখতে এখন আর দর্শনে কনফিউজ হয়ে দ্বিচীরিতা করতে হবে না... অবশ্য আইন কানুন ঘুন প্রিজুডিসে গড়া সমাজ একটা চাপ দেবে , সে চাপে পুকুরের জলে সুনামী হবে... আদৌতে সব ভাবনা আর উপলব্ধি প্রকাশই হবে না... হয়তো উপন্যাসটি কখনই লেখা হবে না... 

তবে “ নো দাইসেলভ” এই এক কাজে যদি সকলে গভীর মনোযোগী  হয় হয়তো সমগ্র জগতে সকল অশান্তির কারণ একটু একটু করে পাওয়া যাবে খুঁজে...

রাত এখন দুইটা বাজে... 

শুভ রাত্রি।


#আত্মকথা


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন