পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ৪ আগস্ট, ২০১৮

আলোচনা: ৪/৮/২০১৮

এইতো  গতকালই একজনকে বলছিলাম-বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা পথে নামুক সেটা কাম্য নয়, তারা শিশু; কিন্তু তাদের এই আন্দোলনে যে লজ্জা টা তারা প্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়েছে তার তুলনা হয় না, সেটার দরকার ছিলো- তাছাড়া প্রাপ্ত বয়স্করা অনেক ভুলকে ভুলে গিয়েছিলো, সেই ভুল কিছু তারা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতেও পেরেছে।
কিন্তু কথায় একটা গ্যাপ ছিলো, দ্রুত ভুলে যাবার যে এক অমোঘ নিয়ম সেটা মনে ছিলো না। আর মনে ছিলো না নেতৃত্বহীন, নিয়ন্ত্রনহীন, চলমান রাজনীতির পাঠহীন একটা আন্দোলন কত ফাঁক ফোকঁড় গলে কত সহজে পলিটিসাইড হয়ে উঠতে পারে।
অথচ তাদের আন্দোলনে যে দাবী তা প্রতিটি জনগণেরই ভালোর জন্য। এ তো মোটেও কোন যুদ্ধ নয়, দাবীর বিষয়ে  তবুও কেনো পক্ষ বিপক্ষ ? বিষয় তো সবার জন্যই ভালো , বরং পক্ষ বিপক্ষ হতে পারে এই বলে যে শিশুরা কেনো এমন একটা রিস্কি কাজে অংশ নেবে। তথাপি চলছে পরিবহণ ধর্মঘট- যেন পক্ষ বিপক্ষ। মাঝে আবার ঘটনাক্রমে ভুলে মনে হয় বিপক্ষ এক শক্তি যেন ক্ষমতাও।
যে কোন যুদ্ধের শুরুতে কাগজে কলমে একটি পক্ষ  কিন্তু শক্তিশালী থাকে। সে আগ্রাসী হয়, ধারণা হয় সেই জয়ী হবে; কিন্তু যখন পরিস্থিতি অবলোকনে ঘটনাক্রমে সেই অবশ্যম্ভাবী জয়টি সুনিশ্চিত হবে না বলে পরিলক্ষিত হয়, তখন শুরু হয় নানা কূটচাল , আবির্ভাব হয় মিরজাফর টাইপ গুষ্ঠি। বৃটিশদের সাথে উপমাহাদেশের রাজা বাদশাহদের যুদ্ধ কিংবা আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকে তাকালেই সে সত্য স্পষ্ট হয়। পাকিস্তান সেই কূটচালটি দিতে কাছে টানে রাজাকার আলবদর ইত্যাদি গোষ্টীকে।
কিন্তু ছাত্রদের আন্দোলনতো যুদ্ধ নয়...পক্ষ বিপক্ষের প্রশ্ন নয়...সকলে পুনরায় বুঝতে শুরু করলো তারা কি কারণে অনিরাপদ সড়কে ভালো থাকে না...কেনো নিরাপদ সড়কের প্রয়োজন, লজ্জা পাবার জায়গা গুলো কোথায়...
কিন্তু লজ্জার মাত্রা অন্যদিকে প্রবাহিত হয়ে যায়...পক্ষ বিপক্ষের টানা পোড়ন বড় দায়...এরপর থেমে যাবে হয়তো ...হয়তো ভুলেই যাবে সবাই...তারপর আবার যেই সেই অনিরাপদ সড়ত..রোজ রোজ কচি প্রাণ চাকার তলায়...আজকেও গাজীপুরে নাকি এক ছাত্রী মারা গেছে কোন এক ট্রাকের তলে...
সবই এই দ্রুতগতির যুগে দ্রুত ভোলার জিনিস... সেদিনের কোটার কথাই আর মনে পড়ে কার?

#পক্ষ-বিপক্ষ


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন