পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮

ট্রেনকাব্য ৩৫// এলোমেলো & ট্রেনকাব্য ০৩৬ //সুর

দু লাইন লিখতে সাধ উত্থিত হলে
মগজে ঘুরি, ট্রেনের জানালার চাঁচ ধরি
ছন্দে ছন্দে নিরানন্দে
মনেই ভেসে ওঠে কোন সুর

কোন গানের, হয়তো সদ্য শোনা কিংবা অতীতে বহু..
ট্রেন ইঞ্জিনের শব্দটাও হতে পারে কোকিলের কুহু!
যদি মিলেমিশে যায়
নিউরণে স্মৃতি, মিথ্যে মাখা উপদেশ নীতি
অার ভয়, সংশয়...
গানের চেয়ে কী ভালো কিছু হয়
গানে সুর, প্রাণে সুর, সুর প্রকৃতির রন্দ্রে রন্দ্রে...
কার ভালো লাগে না বলতো গান শুনতে...
গাছেরও পাতা মেলে সুরের তালে - প্রমাণিত
যাচিত তর্ক হতে পারে রাগ নাকি মেলোডি
ভালো লাগার কী শেষ অাছে
মূল্য কিন্তু মানুষের মানুষেরই কাছে।
পাশে অচেনা, সব প্রিয় গান হয় নি শোনা
তবে সুর মনে ভরপুর
সুর অামাকে শান্তি দেয়
ভাবতে সেখায় - তর্ক হতে পারে যুদ্ধ নয়।
ভাবতে সেখায় - কথা হতে পারে অস্ত্র নয়।



চেপেছি ট্রেনে
চাপ নিস্ না ব্রেনে।
হা হা
এই হলো ছন্দ -অানন্দ
সবুজ ঘাসে শিশির বিন্দু
বিশাল নদীর নাম সিন্ধু
নদীর কথা মনে পড়ে
ব্রীসবেন রিভার রোজ রোজ দেখি
কিন্তু একি
শান্ত স্বচ্ছ অাঁকাবাঁকা সরু, পানি নোনা
পদ্মা মেঘনার কাছে এ যেন খেলনা।
ছন্দ
বেশি বেশি হলে নিরানন্দ
তার চেয়ে সবুজ ঘাসে মেলি চোখ
শিশির সিক্ত সকালে সূর্য
তর্ক বিতর্ক
ভালো মন্দ
ট্রেনের ছুটে চলা
ভালো লাগে শুধু যুক্তিপূর্ণ কথা মালা।
বুড়িগঙ্গা কী এখনও কালোই অাছে (!)
ওর পারে ফেলে অাসা নষ্টালজিক শৈশব
বিস্মৃত হয়ে ওঠে কালো জলের ছোঁয়ায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন