পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২

খেলাকে বিনোদন বলছিলাম

 এ প্লাজ বি হোল স্কয়ার ইক্যুয়াল টু এ স্কয়ার প্লাজ টুয়াইজ এবি প্লাজ বি স্কয়ার … এই সহজ সরল দ্বিঘাত সমীকরণে এখন আর দুনিয়ার কোনকিছুই চলে না … বাস্তবতার সমীকরণে ঘাতের পরিমাণ অত্যাধিক এবং সলিউশান কমপ্লেক্স ময় তো বটেই সাথে প্যাঁচপুঁচে ভরা …



এই ধরেন আগামীকালের পুরুষ টিটুয়েন্টির ফাইনালে খেলবো পাকিস্থান আর ইংল্যান্ড - দুইটাই আমাদের বাংলাদেশ নামক ভূ-প্রকৃতির উপর এক এক কালে ছড়ি চালাইছে - কিন্তু ঐরম ইতিহাস খুঁড়ে খেলাধূলার সাপোর্ট করতে হইলে আসলে অধিকাংশ দলরেই সাপোর্ট করা কঠিন … তবে এক বিশেষ কারণে একটা বড় অংশ বাংলাদেশে পাকিস্তান দলকে সাপোর্ট করবো… করুক …
একাত্তুরের আমানবিক অত্যাচারকে কে যতক্ষণ না রাষ্ট্রীয় ভাবে পাকিস্তান স্বীকার করে ও ক্ষমা চায় ততক্ষণ আমি তাগোর কোন কিছুর সাইডে নাই … আসলে আমি কাল কোন দলের সাইটেই নাই … আমি চাই কাল দুই দল মিলে ৫০ টা ছক্কা মারুক ⁉️🏏
আমি মুভি দেখে যেমন অংশ বিশেষ আর কাহিনীর এডমায়রার হই তেমনি খেলাও আমার কাছে বিনোদন …
তবে অষ্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের খেলা হলে বার্ডেন অব সিটিজেনশীপের এর ভারে একটা সাপোর্টের দায়িত্বও এড়াতে পারি না ।
খেলাকে বিনোদন বলছিলাম - এই যে সেমিতে ইংল্যান্ড দল ভারতকে একদম পাড়ার দল বানিয়ে দশ উইকেটে তিন ওভার আগেই তুলোধূনা করে ছাড়লো - এইটা ছিলো টিটুয়েন্টির ইতিহাসে একটা চরমতম বিনোদন … সাপোর্ট করি আর না করি বিনোদনটা অনস্বীকার্য । ভারতীয়দের কাছে বিষয়টা লজ্জার হতে পারে, রাগ লাগতেই পারে …কিন্তু আলটিমেটলি এটা খেলা-একটা বিনোদন , যুদ্ধ নয়।
আবার ভারত- বাংলাদেশের ম্যাচে বাংলাদেশ জেতার ষোল কলা জাল বিছিয়েও জয়ের মাছ ধরতে পারে নি … জাল ফুটো করে বিজয় বেরিয়ে গেলো বরাবরের মতই … এই যে জাল ফুটো ভারতীয় দর্শকদের বাড়তি বিনোদন হয়েছে… ব্রেনে ডোপামিন বেশি নিসৃত হয়েছে । আমাদের বাংলাদেশিদের হয়েছে যন্ত্রনা ..বেড়েছে রিয়েলিটি মেনে নেয়ার ক্ষমতা🏏🔸
তো যা বলছিলাম …
খেলা বিনোদন বই কিছু নয় …
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ফুটবল পুরুষ বিশ্বকাপ ২০২২ বাতাস বইতে শুরু করেছে আর
৯০ ভাগ মানুষও আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের ১১টা করে খেলোয়াড়ের নামও বলতে পারবে না ( আমিও না) অথচ সমর্থনে ষোল আনা, কেউ কেউতো হাতাহাতি পর্যায়ের সাপোর্টার।
এসব পুরনো কথা … কিন্তু আদৌতে বিনোদনের অভাব বাংলাদেশে - আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিল ভক্তে বিভক্ত হয়ে কান্ডকারখানা তৈরা করাটাও একটা প্রোডাক্টিভ বিনোদন … রক্তপাতের আগ পর্যন্ত দ্যাটস ওকে।
আবার বাংলাদেশ একদল নিজেকে একটু আপগ্রেড ভাবপন্ন ভাবাতে বলবে - দিস টাইম আই জাস্ট চেইন্জড মাই সাপোর্ট টু বেলজিয়াম … বেলজিয়ামের গোলকিপাকের নাম জিগাইলে দুই মিনিট লাগবো গুগল করতে তারই আবার ।
আমি পুরুষ ফুটবল বিশ্বকাপে সেই ৯০ থেকে সেই ব্রাজিলের সাপোর্ট করি — কেনো করি - ব্রাজিল ভালো ফুটবল খেলে বলে কি? - কিন্তু ব্রাজিল ফুটবল ভালো খেলে এ কথা সবই জানে ।
আর্জেন্টিনাও ভালো ফুটবল খেলে - এটাও সবার জানা /
তাইলে সাপোর্ট কেনো ?
আসলে হুদাই - ঐ যে দলে দলে ভাগ হয়ে বিনোদন নেয়া আর কি … যার ছোটবেলায় যেইটার কথা মাথায় বেশি ঢুকছে সেইটাই একটা কারণ হতে পারে …
আমি ভেবে দেখেছি আমার ফুটবল চোখ ফোটার পর আমি চারটা দলকে দেখতাম ফ্রন্টে - ব্রাজিল, জার্মানি, আর্জেন্টিনা, ইটালী।
হতে পারে হলুদ রঙ চোখে বেশি লাগতো … অথবা ঐ সময়ের খেলোয়াড়দের ছন্দময় খেলা কিংবা ৯৪ তে বিশ্বকাপ জেতা …
ব্রাজিল আবারও কাপ পেলে আমার কি না পেলে কি ক্ষতি …
বরং প্রতি খেলায় যত বড় অঘটন তত বড় বিনোদন … লেটস সি….

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন