পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন, ২০২২

শিক্ষার্থী কোন অবস্থাতেই শিক্ষকের গায়ে হাত দিতে পারবে না, এটা মানা যায় না …যদি দেয় তারমানে ঐ সমাজে শিক্ষার আলো ইঁদুরের গর্তে আটকে আছে

 একটা জেলখানায় যখন জেলার বা জেলে কর্মরত কোন আইন শৃংখলা রক্ষার লোক কোন আসামীকে কোন শাস্তি দেন বা বকা দেন তখন সেই আসামীটিও কিন্তু সচারচর পাল্টা জবাব দেয় না বা আঘাত করে না তাই যত বড়ই অপরাধী হোক … কারণ সেখানে একটা আইনের অদৃশ্য বাধা মাথায় সেট হয়ে থাকে …

উন্নত বিশ্বে জেলখানাগুলোকে এখন আসলে আর জেলখানাই বলা হচ্ছে না, বরং কারেকশন সেন্টার বা শোধানাগার বলা হচ্ছে - একই কনসেপ্টে বিশ্বে এখন অধিকাংশ দেশে মৃত্যুদন্ডও রোহিত করা হয়েছে এবং প্রত্যেক অপরাধীকে সমাজ থেকে আলাদা করে কারেকশন করাটা সভ্য মানুষদের দায়িত্ব বলে মনে করছে … সে আসলে অন্য কথা ..,
মূলত বলতে চাচ্ছিলাম একজন শিক্ষকও আসলে একই সাথে এডুকেটর এবং কারেকশনার … নতুন প্রজন্মকে তার চারপাশ থেকে জ্ঞান আহরণের পদ্ধতি এবং চারপাশ থেকে মাথায় ঢোকা ভ্রান্তি চিনতে শেখানো মানে
How to gain knowledge এবং How to correct knowledge - এই দুটো শেখানো আমার মতে একজন শিক্ষকের প্রধান দুটো কাজ ( আর পরীক্ষায় কিভাবে মুখস্ত বমি করে একগাঁদা নাম্বার পেতে হবে সেটা গৌণ কাজ হওয়া উচিৎ … এইটাও আসলে আলোচনা করতে লিখছিনা)

একজন শিক্ষক যখন কোন ছাত্রের ভ্রান্তি সংশোধন করতে কিছু বলবেন এবং তখন যদি সে ব্রুটাল রিএকশন করে তাহলে দেখা যাচ্ছে সে ঐ জেল খানার দাগী আসামীর চেয়েও ভয়ংকর কারণ সে তার কারেকশনারকে আঘাত করছে ।
তাহলে প্রশ্ন জেলার বা পুলিশ ও আসামীর মধ্যে যেমন একটা অদৃশ্য আইনের শক্ত পর্দা আসামীকে আসলে আঘাত করতে মানসিক বাধা দেয় তেমনি কোন শক্ত আইন শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে কি প্রয়োজন হয়ে উঠছে বাংলাদেশে ? (এটা একটা প্রশ্ন)
আমরা বারবারা দেখছি বাংলাদেশে শিক্ষকরা নানাভাবে নিগৃহিত, আহত, নিহতও হচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীদেরই দ্বারা ।
শিক্ষকগনও কি যথাযথ কারেকশনার হিসাবে কাজ করতে পারছেন না, করছেন না বা করতে দেয়া হচ্ছে না ? ( এটাও প্রশ্ন)
প্রশ্নের উত্তর যাইহোক … শিক্ষা এবং শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী এই তিনের মধ্যে সম্পর্ক গুলো বাংলাদেশে আসেলই যথাযথ সভ্যতার উৎকর্ষ পর্যায়ে নেই বলেই এত সংকট হচ্ছে বারবার।
তারোপর বছর দুই /তিন পরপর এডুকেশন সিস্টেমে গিনিপিক হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মানে ৫১ বছরেও একটা স্টেবল এডুকেশন সিস্টেম তৈরী হলো না … ( এটার সাথে শিক্ষক লাঞ্ছিত বা নিহত হবারা হয়তো সরাসরি সম্পর্ক নেই… ঠিক জানি না )
‘শিক্ষক’ মানে যিনি একজন এডুকেটর ও কারেকশনার .. তাঁর অবস্থান অনেক উঁচুতে … তাঁদের সম্মান না করতে পারলে কাগুজে সনদে ফাইল ভরে ফেললে কি লাভ জাতির?
একই সাথে শিক্ষকদেরও প্রকৃত এডুকেটর ও কারেকশনার হতেই হবে না হলে তারাই বা কি শেখাবেন সেটাও একটা প্রশ্ন বটে । তবে শিক্ষকরাও অনেকে দলকানা, অন্ধ, পলিটিসাইজড, বায়াসড, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, ননইউনাইটেড, এবং বিজনেসম্যানও … এগুলো তাদের মর্যাদা শিক্ষার্থীদের বুঝতে দিচ্ছেনা সমাজ। ব্যক্তি হিসাবে তিনি যা ইচ্ছে হতে পারেন কিন্তু প্রত্যেক শিক্ষকের উচিৎ নিরপেক্ষ অবস্থানে শিক্ষা প্রদান ।
জটিল সমস্যা!
যত সমস্যাই হোক …. শিক্ষার্থী কোন অবস্থাতেই শিক্ষকের গায়ে হাত দিতে পারবে না, এটা মানা যায় না …যদি দেয় তারমানে ঐ সমাজে শিক্ষার আলো ইঁদুরের গর্তে আটকে আছে …
রাষ্ট্রকে অবশ্যই এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন