পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২০

ইএফও রিলিজিয়নস

পুরাতন কালে রূপকথা, কেচ্ছা কাহিনী, মিথ নিয়ে প্রায় প্রতিটি সভ্যতায় নতুন নতুন ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা আমরা ইতিহাসের দিকে তাকালেই দেখতে পাই।
আধুনিক সময়ের আলোচিত মিথ UFO ( আন আইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবেজক্ট), মহাজাগতিক প্রাণী বা এলিয়েন এবং নানান বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনীকে কেন্দ্র করেও তো তাহলে নতুন নতুন ধর্ম বা রিলেজিয়ন গড়ে উঠতে পারে - ইতিহাস তো তাই বলে।
সেই অনুসন্ধিচ্ছায় খুঁজতে গিয়ে অবাক- এক নয়- একাধিক। সেগুলোকে এক শব্দে UFO রিলেজিয়ন বলা হচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে Aetherius Society, Church of the SubGenius, Heaven's Gate, Nation of Islam, Universe People, Unarius Academy of Science, Scientology , Raëlism ইত্যাদির নাম গুগল করলেই বিস্তারিত পাওয়া যায়।

এর মধ্যে Raëlism বা রায়েলিজম রিলিজিয়ন এর কাহিনী বেশ দারুন সাইন্স ফিকশন কাহিনী সমৃদ্ধ। - ১৯৭৩ সালে Claude Vorilhon ( বর্তমান নাম Raël) নামে এক ফ্রেন্স সাংবাদিক এক ভলকানিক পাহাড়ে হাঁটছিলো একা একা। সে সময় একটি ইউএফও এসে নামলো তার সামনে। সেখান থেকে ভিন গ্রহ বাসী এক এলিয়েন নেমে এসে তার সাথে কথা বললো, সে তাকে বাইবেলের সঠিক অর্থ বোঝালো। জানালো ২৫০০০বছর আগে তারা মানে ইলোহিমরা (Elohim) পৃথিবীতে এসেছিলো সৌরজগেতর বাইরে থেকে এবং পৃথিবীতে তারা প্রাণের উদ্ভব ঘটিয়েছিলো।
Elohim তাদের এডভান্সড টেকনলজি ব্যবহার করেছিলো। তারা " বায়োলজিক্যাল রোবট" তৈরী করে তার নাম দিয়েছিলো মানুষ। প্রথম দুটি মানুষ তৈরী করেছিলো এডাম এবং ইভ নামে।
রায়েলিয়ান বিশ্বাস হলো পূর্বেকার সকল ধর্মের গ্রন্থ সমূহ মূলত পৃথিবীতে Elohim দের ভবিষ্যত কর্মকান্ড ব্যাখ্যা করেছে। এই বিশ্বাস মতে ইতোপূর্বে ৩৯ জন প্রোফেট পৃথিবীতে এসেছে যারা Elohim দের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। সেই ৩৯ প্রোফেটের মধ্যে গৌতম বুদ্ধ, যীশু, জোসেফ, নোয়াহ এবং ইসলাম ধর্মের প্রবর্তকের নামও রয়েছে বলে তারা বিশ্বাস করে; এবং তারা বিশ্বাস করে রায়েল(Raël) হলো ৪০ তম বা শেষ প্রোফেট। বর্তমানে তার বয়স ৭৪।
সারা বিশ্বে এদের লক্ষাধিক সদস্য রয়েছে। এরা বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক এক্টিভিজমো করে থাকে যেমন- উইম্যান রাইট, গে রাইট, ওপজিশন টু রেসিজম , ব্যানিং নিউক্লিয়ার, এন্টি ওয়ার মুভমেন্ট, টপলেস রাইট ওব উইম্যান ইত্যাদি।
তারা বিশ্বাস করে ১৯৪৫ সালে হিরোসিমা বোম্বিংয়ের পরে মানবতা মহাপ্রলয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে তাই এই ধর্মের মাধ্যমে Elohim রা মানুষকে নতুন প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করেত বলেছে। সেটা সম্ভব হলে তারপর আবার Elohim রা পৃথিবীতে আসবে এবং তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে এক ইউটোপিয়া (utopia- যেখানে সব কিছূ পারফেক্ট) পৃথিবী গড়ে তুলবে মানুষের জন্য। .

আরও অনেক কিছু আছে, পড়ে মনে হয়েছে সাইন্স ফিকশন, ধর্ম, ইতিহাস, মিথ আর পূরাণ দারুন ব্লেন্ড করা হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন