পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি বুঝতে চাওয়া

মোটামুটি সারা বিশ্বের মানুষ হাসতে ভুলে গেছে ...
বাংলাদেশের মানুষ যায় নায়, তারা হাসে কেউ নির্ভয়ে কেউ উপহাসে...
দূর থেকে বুঝতে পারিনা ...
সর্দি কাশি জ্বরে নাকি রোজ রোজ মানুষ মারা যাচ্ছে এমন খবর আসছে নাগরিক সাংবাদিকতায় মানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ...
যদি সত্যি হয় কিছু কিছু এবং তার মধ্যে একজনও যদি সার্স করোনা -২ ভাইরাস নিয়ে মারা গিয়ে থাকে তবে এই ভাইরাসের অতি মাত্রায় আক্রান্ত করার ক্ষমতা থেকে নিশ্চিত এইরূপ শংকা হয় - মৃত ব্যক্তি আশেপাশের
অনেককেই ছড়িয়ে তবে বিদায় নিয়েছেন....
কথা কয়টি হার্স শুনালেও ... এমনতরই হবার কথা...

করোনা ডিসিস-১৯ এর  অধিকতর সিম্পটম সাধারণ সিজনাল সর্দি কাশি জ্বরের মতই, আবার আক্রান্ত হলেই সকলে মারা যায় না, এখনও মৃত্যুর হার ৪-৫%ই ( মোট আক্রান্তের সাপেক্ষে), যার মধ্যে অধিকাংশই ৭০+

চিকিৎসা বা সেবা শুশ্রষা করার কারণে কি ৪-৫%না চিকিৎসা না করালেও ৪-৫%থাকবে সেটা একটা প্রশ্ন ?

মৃত্যহার যত % ই থাক যেহেতু সেটা আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে শতকরা হিসাব তাই আক্রান্ত বাড়লে মৃতের সংখ্যাও বাড়তে থাকবে, প্রায় সকল দেশ সে কারণেই আক্রান্তোর সংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকাতে যথা সম্ভব কম বেশি লক ডাউন আর স্টে এট হোম নিয়ে ব্যস্ত। কম আক্রান্ত কম মৃত্যু- আনুপাতিক।

বাংলাদেশও সে ব্যস্ততায় যতটুকু সম্ভব শামিল। কিন্তু ১ কোটি বা ১০ মিলিয়নের অধিক লোক বাস করে এমন দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনঘনত্বের দেশ বাংলাদেশ ( ওভারওল পজিশন দশম) , এখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১৪৬ জন লোক বাস করে । একই সাথে লোকজনের বড় অংশের সিভিক সেন্স তেমনভাবে আজও ডেভেলপ হয় নি ( সরল উদাহরণ যেখানে সেখানে কফ, থুথু, পিক ফেলানো) । মানুষ অনেকাংশ অত্যাধিক কুসংস্কারাচ্ছন্ন।
২০১৬ সালের হিসাবে বাংলাদেশে দৈনিক $১ এর কম আয় করেন ১২.৯% মানুষ , এটাকেই দারিদ্রসীমা ধরা হয়েছে।
বর্তমান হিসাবে গড় মাথাপিছু আয় বছরে ১,৯০৯ ডলার।
টিআইবির রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৯ এ বেশি দূর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪ তম।
তাছাড়া শীর্ষ দূর্নীতি খাতের টপ ৫ এর মধ্যেই প্রায় প্রতিবছর থাকে স্বাস্থ্যখাত।

এইসকল হিসাবের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় বাংলাদেশে পরিপূর্ণ লক ডাউন বা যতটা সম্ভব স্টে এট হোম বেশ কঠিন এবং কঠিন করোনা সংক্রামনের ও মৃত্যুর সঠিক হার নির্ণয়।

তাই সবচেয়ে একটা ওর্স্ট হিসাবে ১ কোটি মানুষ ও যদি আক্রান্ত  হয় তাহলে মারা যেতে পারে ৪/৫ লক্ষ , যার অধিকাংশও সর্দি কাশি জ্বর, বয়স্ক রোগ বা অন্য রোগ বলেও চালিয়ে দেয়া হয়তো সম্ভব। এমন এই পরিমান মৃত্যু লম্বা সময় ধরে ঘটলে টনকও নড়বে না কারও তেমন।

আসলে এত পর্যালোচনায় আমি আসলে সরকারের কোভিড-১৯ বিষয়ক কর্তৃপক্ষের ‘হাইড এন্ড সিক’ খেলার তাৎপর্য বোঝার চেষ্টা করছি মাত্র।

( কোন পরিসংখ্যানে বা তথ্যে ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবেন)

#করোনাভাইরাস_বাংলাদেশ

স্থান: হোম, ব্রীসবেন

৩১/৩/২০২০

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন