পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮

ট্রেন কাব্য ০১৪, ০১৫

দৌড়টা বেশ ছিলো
সামনের হেলেদুলে চলা স্বাস্হ্যবতীকে একটু কাটাতে হলো
দরজা বন্ধ হবার 'কুককুক' শব্দটা চিৎকার করছিলো
তারপর অামি সরুগলির মোড়ে পাদুখানা ফেলতেই দরজা বন্ধ

সিগন্যাল ম্যান কাছেই ছিলো বাহিরে, সে ঘুরলো
তাকালো হাসলো, হাত নেড়ে দু:খ প্রকাশ করলাম
সে হাত নেড়ে ভুলটা অামার বোঝালো
তারপর চলমান ট্রেনেরর গতি তাকে পেছনে ফেললো...
বারো তেরো মিনিট অপেক্ষা না করার সাধে একটা মুরগী ধরা দৌড়...
এত তাড়া অাসলে কিসের! ..
তাড়া নেই অাসলে ট্রেনটা ধরার ইচ্ছাটা দৌড়ের অনুঘটক
এখানে সময় একটা চটক
মুহূর্তে সে স্বভাব বর্জনে বাধ্য করে
এমনি করে সময় তাড়িত ভুল হয়...
অার সময় অাবার ধীরে ধীরে স্বভাব বর্জনেও বাধ্য করে
তখন যেটা হয় সেটা অার ভুল নয়
সেটা হয়ে উঠতে পারে অন্যায়।

#ট্রেন কাব্য ০১৫

অাজোবধি যা হয়েছে ধারণ
তাহাই কারণ, তাহাই বারণ, তাহাই তোমার নড়নচড়ন
সেই তো ভয় এখানে
প্রভাবিত নিজ প্রাণে
জ্ঞানধারা নয় ট্রেনের লাইন
সমান্তরাল কিংবা লাল সবুজের সাইন
যাহা চিরন্তন তাহাও ট্রেনের সরু গলি
লাইন বেঁকে গেলেই অন্য বগির
গলিটা দৃষ্টি সীমার বাইরে
অাহারে...
শক্ত রশি বাঁধি ধারণ অাজোবধি যাহারে;
ট্রেন টলে, ধারণা টলে;
ঝড় এলে পড়ে ডোবে নীল জলে
অাজীবন রোদ খাওয়া গাছটাও;
সত্য যেমন ট্রেনের গতিটা
সত্য তেমন ট্রেনের থেমে যাওয়াটাও।
সত্য মেনে নিয়ে চলতে পারলে
মেনে নিতেই হবে সময়ে পরিবর্তনটাও।
...অাজোবধি বলে কিছু বর্তমান নেই
অাছে যা এখন শুরু হলে সেই।
# ট্রেন কাব্য ০১৪


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন