পৃষ্ঠাসমূহ

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

মত প্রকাশ ও ফেসবুকে যা লিখছিলাম …

 মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে তো জগত সংসারে ভ্রান্তির কোন শেষ নাই ।


সব ভ্রান্তি আমার স্বল্প ওজনের মস্তিষ্ক ধারণও করতে পারে না ।


তবে …

যখন আমি একদা বাংলাদেশে বিসিএস ক্যাডার হয়ে চাকুরীতে জয়েন করেছিলাম তখন কিন্তু একটা শর্ত মেনে নিয়েছিলাম - ‘রাষ্ট্রের কোন গুরুত্বপূর্ণ নথি পত্র পাবলিকলি জানাবো না।’

(চাকুরী ছেড়ে দেয়ার পরও সেই শর্ত আমি মনে করি মানা উচিৎ।) 


সর্বক্ষেত্রে এমন কিছু যা কোন মেনে নেয়া শর্তের বিপরীতে যায় তা প্রকাশ করে দেয়াটা কোন মতেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়, তা চুক্তির খেলাপ।

একই বিষয় ঘটে যখন দুইটা মানুষ কোন সম্পর্কের মধ্যে অলিখিত চুক্তিবদ্ধ হয় ।

সেই সম্পর্কের ব্যক্তিগত বিষয় পাবলিক করাটাও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নয়।


▫️বাইদ্যা ওয়ে আমি কিন্তু মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আপনাদের অনেকের চেয়ে অনেক বেশি পক্ষে ▫️


—————-


আমি জানি না ঐ বইতে জনৈকা প্রীতি কি লিখেছে … তথাপি আমি আমার যৎসামান্য ওজনের মস্তিষ্কের বিবেচনায় বুঝি - দুইজনের পূর্ণ সম্মতিক্রমে ঘটা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ব্যক্তিগত বিষয় পাবলিকলি জানান দিতে হলে অবশ্যই সেই দুইজনের সম্মতি আবশ্যক; আর একজন একা আপন ইচ্ছেখেয়ালে পাবলিক করে দেয়া মানে সেই জন হঠকারী, দুষ্টমানসিকতার, ইভিল ও ক্রিমিনাল মাইন্ডেড, সুযোগসন্ধানী….


—————


বিষয়টা অনেকসময় এমন হতে পারে যে একজন লেখক ( যেকোন লিঙ্গ) যখন তার অতীতের ব্যক্তিগত যৌনাচারের কথা ভাবে তখন দেখে তার অতীতের সঙ্গীরা কেউই সামাজিক উঁচু নিচু ব্যবস্থায় কেউ তার উপরে পৌঁছায় নি, কেউই বিখ্যাত হয় নি… তাদের নাম বলে বলে কাগজ ভরালে কোন ফায়দাই হবে না, সমাজ নড়ে উঠবে না, বরং বাই চান্স সেই সঙ্গীবা সঙ্গীনীর পরিবারের চোখে পড়লে তার ঘর ভেঙে যেতে পারে … 
তখন হয়তো সে আর সেসব লেখার চিন্তা করে না …

যে ক’জন নারী লেখক বিষয়টি নিয়ে হাউকাউ করেছে বলছেন তাদের ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো - সঙ্গী তার চেয়ে অনেক হাত উপরে উঠে গেছে সময়ের ফেঁড়ে , সামাজিক চলমান ব্যবস্থায় … এইটা একটা ডিফারেন্সিয়েটর হয়ে কাজ করেছে হয়তো।

তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি - দুজন মানুষের সম্মতিক্রমে ব্যক্তিগত সম্পর্ক পাবলিক করার জন্য দুজনের মত থাকা বাঞ্ছনিয়।

তবে যদি কেউ ( নারী বা পুরুষ) বিখ্যাত কারও ফাঁদে পড়ে সম্পর্ক করে তবে সেটা আসলে ব্যক্তিগত থাকে না, সেটা সুযোগ পেলে পাবলিক করা অবশ্যই কর্তব্য ।

_______


দেশে মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর সেন্সরশিপ এবং সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরে হাতে তাঁরই পুস্তকে  পেরেক মারা ভাস্কর্যটি স্থাপন করার  একদিন পর আবার কর্তৃপক্ষ সেইটিকে উঠাইয়া ফেলিয়াছে …


মানে হইলো - যা ইচ্ছা !

কিংবা ভল্তেয়ারের সেই কথাটির বিপরীত - ‘I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it’



#মতপ্রকাশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন