প্রাচীন রোমের গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে একটা প্রচলিত কথা আছে - ‘ঐ রকম গনতন্ত্র যেখানে আধিপত্য বিস্তার করতো মৌলিকভাবে অগনতান্ত্রিক একটি সমাজের লোক যারা একটি ধনী অভিজাত সম্প্রদায় থেকে আসা’
এখন গনতন্ত্র আর শুধু এরিস্টোকেটদের ভোটে সীমাবদ্ধ নয় । ভোটার আর ভোটার না - এটার একমাত্র তফাৎ হয় বয়স দিয়ে । নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছালে সবাই ভোটার গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ।
কিন্তু সঠিক ভোট দেয়ার জন্য বয়স ছাড়া আর কোন যোগ্যতা কাউকে অর্জন করতে হয় না ।
সংগত কারনে মনে করেন - ১ সমাজে ১০০০ জন ভোটার।
তার মধ্যে ৭০ জন চোর আর ৩০০ জন সাধু। ভোটে প্রার্থী একজন চোর - আরেকজন সাধু ।
১০০ ভাগ ভোট কাস্ট হলে কে জিতবে বোঝাই যাচ্ছে !
যাহোক বাস্তবতা এত সরল নয় । কোন সমাজে ৭০% চোর আর ৩০% সাধু একসাথে বসবাস করাই প্রশ্নবিদ্ধ - গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা তো পরে ।
ভোট দেয়ার যোগ্যতা বিষয়ে একাডেমিক লেভেলে সবারে দু কলম লেখা পড়া শেখানো যেতে পারে । আল্টিমেটলি মুখে যেহেতু জ্ঞানীরা ভোটাধিকারের বিষয়ে কথা বলে বলে ফেলা তুলে ফেলেন!
যাহোক আবার শুধু একদল সিলেক্টেড তথাকথিত অর্থ বা বিত্ত বা বংশ বা শিক্ষার আধিক্যে থাকা লোকও যদি সেই রোমের মত কেবল ভোটাধিকার কুক্ষিগত করে বসে থাকে তারও ভয়াবহ সব অরাজকতা এই এক জীবনে কিঞ্চিৎ তো দেখেছি আমরাই অনেকে
….
মোদ্দা কথা বাংলাদেশে নির্বাচিত প্রতিনিধি হতে এমন এমন অসাধু লোকজনকে আমরা দেখেছি যে আসলে ‘জনগনের ভোট প্রদানের গুরুত্ব ও গনতন্ত্র ‘ এই বিষয়ে ভরি ভরি নেতিবাচক থিসিস পেপার লেখা সম্ভব।
তাই একজন হিরো আলম যোগ্য না অযোগ্য প্রার্থী বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা নির্ণয়ের আসলে আমার কোন যোগ্যতাই নাই । আপনারও নাই কারণ আর হাজার হাজার প্রতিনিধি নির্বাচনে যোগ্য না অযোগ্য বিচার করেন নাই ।
আমি হিরো আলমের পক্ষেও না বিপক্ষেও না। তার কিছু কিছু ভাড়ামি অসহ্য, কিছু কিছু ভাড়ামির প্রচেষ্টা ভালো।তবে সে নিজেকে ইদানিং বেশ আপগ্রেড করেছে চলনে বলনে … গুড সাইন।
যে সংসদে আমি নিজে লাইভ টিভিতে গালাগালি দিতে, হাতাহাতি করতে আর ক্যামেরা ভেঙে ফেলতে দেখেছি সেখানে একটা নিরীহ ভাঁড় একদম বেমানান নয় ।
উইশ হিম গুড লাক !
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন