পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

ঘেটুপুত্র ও শিশুকামি

প্রায় দেড়শ বছর আগের ব্রিটিশ শাসনাধীন (বর্তমান বাংলাদেশের) হবিগঞ্জ জেলায় বৈষ্ণব আখড়ায় ঘেটুগান নামে নতুন গ্রামীণ সঙ্গীতধারা সৃষ্টি হয়েছিল। নতুন সেই সঙ্গীত ধারাতে মেয়েদের পোশাক পরে কিছু সুদর্শন সুন্দর মুখের কিশোরদের নাচগান করার রীতি চালু হয়। এই কিশোরদের আঞ্চলিক ভাষাতে ঘেটু নামে ডাকা হতো। ঘাটু নামের নব এই সঙ্গীত ধারাতে গান প্রচলিত সুরে কীর্তন করা হলেও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের প্রভাব বেশ লক্ষনীয় ছিল। গ্রাম্য অঞ্চলের অতি জনপ্রিয় নতুন সঙ্গীতরীতিতে নারী বেশধারী কিশোরদের উপস্থিতির কারণেই এর মধ্যে অশ্লীলতা ঢুকে পড়ে। শিশুদের প্রতি যৌনসংসর্গে আগ্রহী বিত্তবানরা বিশেষ করে জোতদার প্রমুখ এইসব কিশোরকে যৌনসঙ্গী হিসেবে পাবার জন্যে লালায়িত হতে শুরু করে। একসময় সামাজিকভাবে বিষয়টা স্বীকৃতি পেয়ে যায়। হাওর অঞ্চলের জমিদার ও বিত্তবান শৌখিন মানুষরা বর্ষাকালে জলবন্দি সময়টায় কিছুদিনের জন্যে হলেও ঘেটুপুত্রদের নিজের কাছে রাখবেন এই বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে বিবেচিত হতে থাকে। ‘ ( তথ্যসূত্র : ঘেটুপুত্র কমলা চলচ্চিত্র, উইকিপেডিয়া)
... আর আজকাল বিভিন্ন মাদ্রাসায় একদল মাদ্রাসা শিক্ষক বাচ্চা বাচ্চা ছেলেদের টুপি লুঙ্গি পড়া আধুনিক ঘেটু ভাবেন, আজ সোস্যাল মিডিয়াতে প্রমাণ স্বরূপ একখানা লুকিয়ে ধারনকৃত স্থির চিত্রও প্রকাশ পেয়েছে ও ভাইরাল হয়েছে, কিন্তু এই শিশুকামিতা থামার কোন লক্ষ্মনই নেই...কোন যেন পদক্ষেপও দৃশ্যমান নয়, মাদ্রাসা নিয়ন্ত্রন কতৃপক্ষ বা সরকার সর্বত্রই এড়িয়ে চলার ভাব, যেন ঘেটু পুত্র সমাচারের মত এই বিষয়টিও স্বাভাবিকভাবে বিবেচিত হতে থাকবে কোন একদিন এমনতর ভয়াবহতার জন্য অপেক্ষা, আরও আশ্চর্যের বিষয় ভুক্তোভোগী অভিভাবকগণ বা এখনও শিকার না হওয়া শিশুদের অভিভাবকরাও অধিকাংশ মনে হচ্ছে নির্বিকার ...
কারণ কি?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন