পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১৮

ট্রেনকাব্য ০৩০ - ০৩৩

অনেকদিন কোন কাব্য নেই
জাগতিক সকল কিছুর মত
এর পেছনেও কারণ অাছে...
কারণ নিয়ে একটা দীর্ঘ রচনা হবে
তার অাগে রাত ভোরের কঠিন শীতের
সাথে যুদ্ধগুলো জিততে হবে
বিশ্বকাপ ফুটবলের জয় পরাজয়
ড্র গুলো যৌক্তিকতায় এক পলকে
মেপে নিয়েই খেলাকে শুধু খেলাই
ভাবতে পারতে হবে...
মাঝে মাঝে রাত শেষ প্রহরে উঠে
কয়েকটা খেলার পূর্ণ বিনোদন নিতে হবে
কিন্তু কোন টেনশন নয়....
ঠান্ডা বাতাসকে ফাঁকি দিয়ে
এই ট্রেনের উষ্ণতায় উঠে পড়ার
শক্তি কিছু অবশিষ্ট রাখতে হবে...
ওঠা নামা ট্রেন অার গতি
অযৌক্তিকতা ফেলে দিলে কার কি ক্ষতি!
বাস্তবতায় কোন ফেইরি টেইল নেই
ঠেলে দেয় সে জীবন তরী নিরোবধী
অসীম অজানায়।।।


ট্রেনকাব্যে অাছে সরলতা
রকেটকাব্যে অাছে জটিলতা
স্যাটেলাইট এর লেজ ধরে থাকে রকেট
অাদার ব্যাপারীর শেষ ঠিকানা কিন্তু
নিজ পোষাকেরই পকেট।
অাজ ছোটকাল চোখে ভাসে
অনেক অনেক স্মৃতি কাছে অাসে
অনেক অনেক বিস্মৃতি
দুটোর কোনটাতেই ট্রেন, ট্রেনের গলি
এসব স্পষ্ট নয়
একটা কথা মনে অাছে
ছোটকালে জানতাম ট্রেন একটি
ক্রম অবসলিউট টেকনো...
জানবো কেমনে তখনতো কূয়োর ব্যাঙ...
ট্রেন মানে স্টীম অার কয়লা
মান্ধাত্বারের মামলা....
অথচ এই ট্রেনে চড়েই পৌঁছে
যান রোজ স্যাটেলাইটের কারখানায়
টপ মোস্ট কারিগর...
ট্রেনের সরু গলি এখনও সভ্যতার
এই পদে এখনও সবচেয়ে জনপ্রিয়
রোজ রোজ জনে জনে
সরু গলির পথ ধরে,
ছোটবেলার ঢাকাতেও রেল সভ্যতার কথা শুনি
মেট্রোর কথা অাসে কানে....
উচাটন অানন্দ প্রাণে...
অাজও ছোটবেলার ঢাকা টানে
অন্ধকুয়োতেও শ্যাওলা জমে
সবুজ কোমল শৈশব...
ট্রেন স্টেশন, কমলাপুর
নিত্য সেথায় চরণ স্পর্শ
তবুও ট্রেনে চড়ার স্মৃতি সবে এক দুই
এখন স্মৃতিতে ট্রেন ভরপুর বিদেশ বিঁভুই
অাজ ছোটবেলার ঢাকা মনে পড়ে
উঁচুতে অাকাশ দেখেছি কত
শিশুপার্কে নাগড়দোলায় চড়ে চড়ে....
অাজ অাকাশ দেখি হাতের মুঠোয়
অাজ বয়স গেলো তো বেড়ে
অাজ জ্ঞান চর্চা হয়েছে সহজ
ভালো লাগা কতো ঐ ট্রেনের জানালা জুড়ে।


নালার ধারে
তার পেছনে পেছনে
অাসতে শুরু করেছে
শীতল বাতাস
প্রতি রাতে ঘরের চালে
ফাঁক ফোঁকড়ে
ডিম পাড়ছে শীত
ক'দিন পড়েই ডিম
ফুটে বের হবে
সব শীতের বাচ্চা
এদিকে ট্রেনে পুরো চাঁচের জানলা
ভেতরে যান্ত্রিক শীতলতা
এখানে পরাজিত প্রাকৃতিক শীত
এখানে কৃত্রিম সুখ
সরু গলি
তবুও কথা বলি বাহিরের
কুয়াশায় শীতের ইতিহাসে
ইশারায় মনে মনে
তাহারা মনে করায়
গ্রাম বাংলায় ঘন কুয়াশায়
একটি শীতের সকাল
কুয়াশা কুয়াশায় সখ্য ছিলো
তাহারা ঘুরে বেড়ায় বিশ্ব।


ট্রেনগুলো অাজকাল উভমুখি
কিন্তু যে যাত্রা পথে মুখ
সে ফেরার পথে লেজ
উল্টো ঘোরার দরকার হয় না
কিন্তু মানুষ উভমুখি হলে
সমস্যা
কারণ মানুষ উল্টো ঘুরে যায়
শেষ মাথার সাতকাহন শুরুর মাথায়
এসে বর্ণনা করে
ঘুরে উল্টে,
বর্ণনায় বিশুদ্ধতা মানুষ শতভাগ
রাখতে পারেনা
এটা মনুষ্য সফটওয়্যরের বাগ
এভাবে কথা ছড়াতে ছড়াতে
অবিশুদ্ধতা বাড়াতে বাড়াতে
মানুষের সফটওয়্যার হ্যাঙ্গও করতে পারে।
উভমুখি চলা অাবার অবশ্যক,
তেমন অাবশ্যক
মাঝে মাঝে বাগ নিয়ে
বেঁচে থাকা সফটওয়্যারটা
মুক্ত বাতাসে রিফ্রেশ
মানে পরিপূর্ণ বিশ্রাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন